গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়ার ৯টি উপকারিতা

করলা (বা করলা) একটি মাঝারি আকারের সবজি যা স্বাদে তেতো। যেমনটি জানা যায়, করলা বেশ কয়েকটি ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর থাকে, যা এই সময়ে দুর্দান্ত হিসাবে বিবেচিত হয়। গর্ভাবস্থা. সংক্ষেপে, এটি পুষ্টির একটি পাওয়ার হাউস এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এর বেশ কিছু অতিরিক্ত সুবিধা রয়েছে।

গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া কি নিরাপদ?

করলা অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর, এটি গর্ভাবস্থায় খাওয়ার জন্য সেরা সবজিগুলির মধ্যে একটি করে তোলে। এতে জিঙ্ক, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা গর্ভাবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপরন্তু, এটি ভিটামিন A, C, এবং B (B1, B2, এবং B3) উচ্চ মাত্রার গর্ব করে। অধিকন্তু, এটি খাদ্যতালিকাগত ফাইবার সমৃদ্ধ যা অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। অধিকন্তু, করলা, বা করলা, কম গ্লাইসেমিক সূচক আছে বলে পরিচিত, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই এটা সঙ্গে মহিলাদের জন্য একটি চমৎকার পছন্দ করে তোলে গর্ভাবস্থার ডায়াবেটিস.

করলার মধ্যে ক্যান্সার বিরোধী এবং প্রদাহরোধী উপাদান রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয় যা মা এবং বিকাশমান ভ্রূণ উভয়ের জন্য উপকারী। যাইহোক, পরিমিত পরিমাণে করলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে হজমের অস্বস্তি এবং অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। অতএব, আমরা উপসংহারে আসতে পারি যে সীমিত পরিমাণে করলা খাওয়া গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নিরাপদ।

গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়ার উপকারিতা

এখানে গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়ার কিছু উপকারিতা রয়েছে-

1. উচ্চতর ফাইবার সামগ্রী: করলা ফাইবারে ভরপুর, যা অত্যধিক লোভ কমায়। আবর্জনা বা উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবারের আকাঙ্ক্ষা এই হ্রাস রাখতে সাহায্য করে গর্ভবতী মহিলারা সুস্থ, গর্ভাবস্থায় ফিট এবং স্লিম। উপরন্তু, এটি পাচনতন্ত্রে কোলেস্টেরল-সমৃদ্ধ অ্যাসিড আটকে রেখে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার ঝুঁকি কমায়। 
2. উচ্চ ফোলেট সামগ্রী: ফোলেট গর্ভবতী মহিলাদের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনীয়তা কারণ এটি নতুন কোষ, ডিএনএ এবং আরএনএ উপাদান তৈরিতে সহায়তা করে ভ্রূণের বিকাশকে উৎসাহিত করে। এটি নবজাতককে সম্ভাব্য নিউরাল টিউব ত্রুটি এবং স্পাইনা বিফিডা এবং অ্যানেন্সফালির মতো উল্লেখযোগ্য জন্মগত অক্ষমতা থেকেও রক্ষা করে, যা যথাক্রমে মেরুদণ্ড এবং মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে।
3. অ্যান্টি-ডায়াবেটিক: গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। অতএব, তাদের জন্য ঘন ঘন করলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। করলাতে একটি ইনসুলিন জাতীয় যৌগ থাকে যা হাইপোগ্লাইসেমিক প্রোটিন নামে পরিচিত, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটিতে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানও রয়েছে, যেমন চারেন্টিন এবং পলিপেপটাইড-পি, যা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে।
4. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: গর্ভাবস্থায় একটি শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম বজায় রাখা অপরিহার্য। করলা ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল, যা একটি স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থার জন্য প্রয়োজনীয়। এটি একটি উচ্চ ভিটামিন সি সামগ্রী নিয়ে গর্ব করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আয়রন শোষণে সহায়তা করে।
5. সংক্রমণ প্রতিরোধ করে: করলার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। উপরন্তু, এটিতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট আরও ক্ষতি কমায় এবং প্রতিরোধ করে। উপরন্তু, করলা খাওয়া সাহায্য করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, গর্ভাবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এমন বিদেশী উপাদানের বিরুদ্ধে শরীরকে রক্ষা করতে সক্ষম করে।
6. হজমের ব্যাধি কমায়: কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হেমোরয়েড দুটি প্রধান জটিলতা যা বেশ কয়েকটি গর্ভবতী মহিলার মুখোমুখি হয়। শাকসবজিতে থাকা ফাইবার উপাদান এই অবস্থার উপশম করতে সাহায্য করে। করলা স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকেও সমর্থন করে, যার ফলে হজম এবং পুষ্টির শোষণের উন্নতি ঘটে। অধিকন্তু, করলা কম ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
7. ভ্রূণের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে: করলা একটি ক্রমবর্ধমান ভ্রূণের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি ধারণ করে, যার মধ্যে রয়েছে আয়রন, নিয়াসিন, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, পাইরিডক্সিন এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড। এটি ভ্রূণের হাড়ের সঠিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়ামও সরবরাহ করে, এটি ভ্রূণের সুস্থ বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য একটি চমৎকার পছন্দ করে তোলে।
8. মলত্যাগের উন্নতি ঘটায়: কোষ্ঠকাঠিন্য গর্ভাবস্থার একটি সাধারণ জটিলতা, যা প্রায়ই অস্বস্তি এবং ব্যথার কারণ হয়। খাদ্যতালিকাগত ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এবং পেরিস্টালিসিসের প্রচারের কারণে, করলা অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
9. অন্যান্য পুষ্টির নিখুঁত উত্স: উল্লেখিত পুষ্টিগুণ ছাড়াও করলার মধ্যে রয়েছে রাইবোফ্লাভিন, থায়ামিন এবং ভিটামিন বি এর পাশাপাশি বিটা ক্যারোটিন। করলার বিটা-ক্যারোটিন ভ্রূণের ফুসফুসের বিকাশে অবদান রাখে এবং ভিটামিন এ বিষাক্ততার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে

উপসংহার

করলা সালাদ হিসাবে খাওয়া যেতে পারে, ভাজা, সিদ্ধ বা স্টু এবং স্যুপে যোগ করা যেতে পারে। সবচেয়ে ভালো দিক হল এটি স্থানীয় মুদি দোকানে ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়। কখনও কখনও, ডাক্তাররা পরিপূরক আকারে করলা লিখে দেন। নিশ্চিত করুন যে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করছেন এবং নির্দেশ অনুসারে পরিপূরক গ্রহণ করছেন। কারণ অত্যধিক সেবনের ফলে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন অকাল প্রসব এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যা যেমন ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা। সামগ্রিকভাবে, এটি মা এবং ভ্রূণ উভয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজগুলির একটি দুর্দান্ত উত্স।

এছাড়াও, এটি অবশ্যই উল্লেখ করা উচিত যে কেউ যদি আগে করলা খাওয়ার চেষ্টা না করে থাকে তবে তাদের গর্ভাবস্থায়ও এটি খাওয়া এড়ানো উচিত। কারণ এটি ক্র্যাম্প, গ্যাস্ট্রাইটিস এবং অন্ত্রের সমস্যার কারণ হতে পারে। সুতরাং, গর্ভাবস্থায় কী খাওয়া উচিত এবং কী এড়ানো উচিত সে সম্পর্কে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।