কালো ছত্রাক COVID-19

কালো ভয়

এর পরিণতি আরও ভয়ঙ্কর কোভিড 19. মিউকার মাইকোসিস একটি নতুন ছত্রাক সংক্রমণ। এটি কেবল নাক এবং মুখের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি চোখ ও মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে এবং মারাত্মক বিপদে ফেলে। এই লক্ষণগুলি ডায়াবেটিস রোগীদের মতোই।

কেন এটা বুমিং হয়?

মুনকার মাইকোসিস। এই যে কেউ কি শুনতে. কালো ছত্রাক বলা হয়, এটি একটি খুব বিরল সমস্যা। তবে এটি লক্ষণীয় যে অনেক লোক এখন কোভিড -19 এর প্রাদুর্ভাবের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। মুকার মাইকোসিস, যা বর্তমানে উদ্ভূত হচ্ছে, কোভিড-১৯ এন-এর সাথে যুক্ত। বিষ্ণুস্বরূপ রেড্ডিকে সমস্যা বলা যেতে পারে। এটা সত্য যে কোভিড -19 এর প্রাদুর্ভাব EAN সার্জন, CARE হাসপাতাল, প্রাথমিক পর্যায়ে কিন্তু বানজারা পাহাড়ে তেমন একটা দেখা যায়নি। বর্তমানে, হায়দ্রাবাদের দ্বিতীয় পর্যায়ে, আরও বেশি মানুষ এতে আক্রান্ত হচ্ছে এবং এটি বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। কোভিড-১৯ কমে যাওয়ার পর মুকারামাইকোসিস আরও বেশি করে দেখা দিচ্ছে। এটি প্রধানত যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন এবং যারা করোনার চিকিৎসার অংশ হিসেবে কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করেছেন তাদের মধ্যে দেখা যায়। কেউ কেউ করোনা পজিটিভ হলে এতে আক্রান্ত হন।

ছাতা উত্স: কালো ছত্রাক Mucarmycetes (Zygomycetes) নামক ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি বাড়ির ভিতরে বা বাইরে যেকোনো পরিবেশে হতে পারে। নাক ও গলায় বাতাস প্রবেশ করে এবং বৃদ্ধি পায়। সাধারণত সুস্থ মানুষ এটা করে না। ইমিউনোকম্প্রোমাইজড লোকেদের ক্ষেত্রে এটি সমস্যাযুক্ত হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের সাধারণত দুর্বল ইমিউন সিস্টেম থাকে। এ কারণে যারা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেননি তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি। ক্যান্সার রোগী, লিউকেমিয়া রোগী, কেমোথেরাপি রোগী, অঙ্গ প্রতিস্থাপন গ্রহীতারা, যারা অন্য ধরনের ছত্রাক সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য অরিকোনাজল গ্রহণ করেন এবং যারা ইমিউনোসপ্রেসিভ ওষুধ গ্রহণ করেন। মিউকার মাইকোসিস প্রধানত নাক এবং নাকের চারপাশের বায়ু স্থান (প্যারানাসাল সাইনাস) আক্রমণ করে। এটা সেখানেই সীমাবদ্ধ নয়। চোখ ও মস্তিষ্কে প্রসারিত হচ্ছে। সেজন্য 'রাইনো অরবিটো সেরিব্রাল মিউকার মাইকোসিস' মানে 'নো রাইনো ইনফেকশন'। এটি চোখকে আক্রমণ করে। হতে |

সঙ্গে অতিরিক্ত ব্যবহারের স্টেরয়েডের: এটা সত্য যে কর্টিকোস্টেরয়েডগুলি কোভিড -19 এর গুরুতর ক্ষেত্রে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। তারা প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে এবং সমস্যার তীব্রতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করে। যদি এগুলি প্রয়োজনীয় পরিমাণে এবং প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করা হয় তবে তারা রামবনমের মতো কাজ করে। যারা বাহ্যিক অক্সিজেন এবং যারা ভেন্টিলেটরে আছেন তাদের জন্য স্টেরয়েড যেমন ডেক্সামেথাসোন এবং মিথাইলপ্রেডনিসোলন শিরায় দেওয়া উচিত। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে অযথা, অতিরিক্ত গ্রহণ করা একটি বিপজ্জনক কাজ। বর্তমানে, কোভিড-১৯ ওষুধের তালিকা ব্যাপকভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। এগুলো দেখে নিজেই ওষুধ কেনা ও ব্যবহার করা ইদানীং সাধারণ হয়ে উঠেছে। স্টেরয়েডগুলি অন্যান্য ওষুধের মতো কম ব্যবহার করা উচিত। করোনার পর প্রথম ৫ দিনে স্টেরয়েড শুরু করা মোটেও ভালো নয়। আপনি যদি 19 দিন পর ক্লান্ত বোধ করেন তবে আপনি এটি খেতে পারেন। যাইহোক, এটি সঠিক মাত্রায় ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে নেওয়া উচিত। কারণ এগুলোর সঙ্গে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, পাকস্থলীর আলসার, ড্রপসি ও যক্ষ্মা রোগে আক্রান্তদের বেশি সমস্যা হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের আরও সতর্কতা প্রয়োজন। স্টেরয়েড রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়াতে পারে। এটি বর্তমানে মিউকোরমাইকোসিসের বীজ বপন করছে। এমনকি নন-ডায়াবেটিসদের মধ্যেও স্টেরয়েডের মাধ্যমে নতুন সূচনা ডায়াবেটিস হয়। • রক্তে ফেটিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়াও হুমকিস্বরূপ। এটি ছত্রাককে টিস্যুতে লেগে থাকতে দেয়। এমনকি নন-ডায়াবেটিসদের মধ্যেও স্টেরয়েডের মাধ্যমে নতুন সূচনা ডায়াবেটিস হয়। • রক্তে ফেটিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়াও হুমকিস্বরূপ। এটি ছত্রাককে টিস্যুতে লেগে থাকতে দেয়। এমনকি নন-ডায়াবেটিসদের মধ্যেও স্টেরয়েডের মাধ্যমে নতুন সূচনা ডায়াবেটিস হয়। • রক্তে ফেটিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়াও হুমকিস্বরূপ। এটি ছত্রাককে টিস্যুতে লেগে থাকতে দেয়।

চিকিৎসা 

একটি দল নিয়ে বিশেষজ্ঞদের: মিউকরমাইকোসিস অনেক অঙ্গের সাথে যুক্ত। তাই ইএনটি সার্জন, নিউরোলজিস্ট, নিউরোসার্জন, চক্ষু বিশেষজ্ঞ, ডেন্টাল, ফেসিও-ম্যাক্সিলারি সার্জন, অকুলোপ্লাস্টিক সার্জন, ইনটেনসিভিস্ট প্রভৃতি বিশেষজ্ঞদের একসাথে চিকিৎসা করতে হবে।

গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। এদের মধ্যে ডায়াবেটিসের কারণে পাকস্থলীতে অ্যাসিডিটি খুব বেশি। গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকলেই মিউকরমাইকোসিস নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অন্যথায়, এটি দ্রুত প্রসারিত হয় এবং অন্ধকার হয়ে যায়।

ছত্রাক ঔষধ: রোগ ধরা পড়ার সাথে সাথে ছত্রাকের সংক্রমণ কমানোর ওষুধ শুরু করা উচিত। এর প্রধান ওষুধ হল লাইপোসোমাল অ্যামফোটেরিসিন বি। এটি প্রতিদিন শরীরের ওজনের প্রতি কেজি 5 মিলিগ্রাম হারে দেওয়া হয়। গুরুতর সংক্রমণের জন্য প্রয়োজন, মস্তিষ্কের বিস্তারের জন্য 10 মিলিগ্রাম। এর প্রয়োজনও হতে পারে। এটি 2-4 সপ্তাহের জন্য দেওয়া উচিত। এটি লবণাক্ত দ্রবণের সাথে মিশিয়ে ধীরে ধীরে দেওয়া হয়। বর্তমানে, liposomal amphotericin B ব্যাপকভাবে পাওয়া যায় না। দামও বেশি। তাই ডিঅক্সিকোলাইট বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি প্রতিদিন 1 মিলিগ্রাম প্রতি কেজি শরীরের ওজন। প্রয়োজনীয় প্রতি এটির আরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন ঠান্ডা লাগা, তাই এটি আরও ধীরে ধীরে দিতে হবে। ফোসাকোনাজল বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রথম দিনে দিনে দুবার 300 মিলিগ্রাম। প্রতি দেওয়া হয় গতকাল থেকে দিনে একবার দিলেই যথেষ্ট। পরিবর্তে Isavuconazole ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলি হল 200 মিলিগ্রাম। ডোজটি দুই দিনের জন্য দিনে 3 বার দেওয়া হয়। এর পরে, এটি দিনে একবার দেওয়া হয়। রোগ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এগুলো নিতে হবে।

সতর্কতা : Liposomal amphotericin B হতে পারে কিডনি ক্ষতি, তাই রক্তের ক্রিয়েটিনিন এবং পটাসিয়ামের মাত্রা ঘন ঘন নিরীক্ষণ করা উচিত. ক্রিয়েটিনিন বাড়তে থাকলে ওষুধ বন্ধ। বেশি পরিমাণে স্যালাইন দিলে ক্রিয়েটিনিন কমে যাবে। পরের দিন আবার শুরু হবে ওষুধ। পটাসিয়াম কমে গেলে সিরাপ আকারে দেওয়া হয়। উটের পানির পরিমাণ যেন কমে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

কিভাবে নির্ণয় করবেন?

অনুনাসিক এন্ডোস্কোপি : এর থেকে বোঝা যায় নাকের ভেতরটা কেমন। যদি নাকের টারবিনেটগুলি কালো, আঁশযুক্ত বা কালিযুক্ত দেখায় তবে এটি একটি ছত্রাক সংক্রমণ নির্দেশ করে। নাকে কালো এবং বাদামী চেকও হতে পারে। এটি সংগ্রহ করা উচিত এবং একটি মাইক্রোস্কোপের অধীনে পরীক্ষা করা উচিত (কেভি এইচ মাউন্টিং)। এটি zygomycetes বা mucomycetes উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি নির্ধারণ করে।

CT স্ক্যান : নাক এবং এয়ার চেম্বারগুলির একটি সিটি স্ক্যান প্রকাশ করে যে সংক্রমণ কতদূর ছড়িয়েছে। MR: এটি বলতে পারে যে সংক্রমণটি মস্তিষ্কে, ক্যাভারনাস সাইনাস বা চোখে ছড়িয়েছে কিনা।

সার্জারি সাথে চিকিত্সা মিউকার মাইকোসিস শুধুমাত্র ওষুধ দিয়ে চিকিত্সা করা হয় না। ওষুধ শুরু করার পর অস্ত্রোপচার করতে হবে। অস্ত্রোপচারের পরে ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে। অন্যথায়, ছত্রাকের পুনরায় উত্থানের ঝুঁকি রয়েছে।

এর অপসারণ ছাতা কলা : এন্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারি নাক এবং সাইনাসের কালো টিস্যু, সেইসাথে অনুনাসিক চেম্বারে পুঁজ অপসারণ করে। তালুতেও আক্রান্ত হলে গালের হাড় এবং তালুর কিছু অংশ অপসারণ করতে হতে পারে। প্রয়োজনে ২-৩ সপ্তাহ পর আবার পরিষ্কার করুন। ফাটল তালু সেরে না যাওয়া পর্যন্ত একজন ছেঁড়া তালু রোগীকে নাক দিয়ে একটি টিউবের মাধ্যমে খাওয়ানোর প্রয়োজন হতে পারে। নিরাময়ের পরে, একটি পাতলা প্লেটের মতো ডিভাইস (টুরেটর) তালুর উপরে স্থাপন করা হয়।

চোখ অপসারণ : সবার জন্য নয়, তবে সংক্রমণ যদি চোখে ছড়িয়ে পড়ে, তবে কারও কারও চোখ সরানোর প্রয়োজন হতে পারে। তা না হলে অপটিক নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। টিউব অপসারণ করা হলে, এটি আবার অপসারণ করা প্রয়োজন হতে পারে।

গোড়ার দিকে সনাক্তকরণ ভাল যদি চিকিত্সা বিলম্বিত হয়। যেহেতু সংক্রমণ উভয় পাশের বায়ু চেম্বারে ছড়িয়ে পড়ে। এটি মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়লে প্যারালাইসিস হতে পারে। কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে কয়েক দিনের মধ্যে মারা যেতে পারে। তাই | যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংক্রমণ সনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি দৃষ্টিশক্তি এবং জীবন বাঁচাতে পারে। খেয়াল করলে প্রচন্ড মাথাব্যথা, গাল ব্যথা, চোখের ব্যথা, এটি উপেক্ষা করবেন না এবং অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।  

কোভিড -19- মুকারামাইকোসিস

কালো ছত্রাকের লক্ষণ বিভিন্ন হয়নাক, ​​তালু, চোখ ও মস্তিষ্ক সবই আক্রান্ত হওয়ায় বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল একদিকে প্রচণ্ড মাথাব্যথা আছে। এর পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট অঙ্গের উপর নির্ভর করে লক্ষণগুলি বাড়ছে।

কালো নাকের ভিতরে : প্রাথমিক অবস্থায় নাক বন্ধ, সর্দি, বাদামী ও কালো আঁচিলের মতো উপসর্গ দেখা যায়। আমাদের নাকে তিনটি টারবিনেট আছে। এগুলিই আমরা শ্বাস নেওয়া বাতাসে আর্দ্রতা যোগ করে। মুকারমা গ-তে নাকের রশ্মি সহ কালো হয়ে যায়।

চোখ আঘাত : চোখের লক্ষণ প্রায় 50% মানুষের মধ্যে দেখা যায়। চোখের পিছনে ব্যথা, চোখের পাতা ফুলে যাওয়া, চোখের মণি ফুলে যাওয়া, ঝাপসা দৃষ্টি, দ্বিগুণ দৃষ্টি, চোখের চারপাশের ত্বক লাল হয়ে যাওয়া এবং তারপরে ত্বক কালো হয়ে যাওয়া। কারণ সংক্রমণ নাক ও মুখ থেকে মস্তিষ্কের কাছের বায়ু প্রকোষ্ঠে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের নাকের চারপাশে 8 টি এয়ার চেম্বার রয়েছে। কপালে (সামনে), চোখের মাঝখানে (এথমায়েড), গালের পিছনে (ম্যাক্সিলারি) এবং মস্তিষ্কের কাছে (স্ফেনয়েড) দুটি বায়ু প্রকোষ্ঠ রয়েছে। সংক্রমণ নাক ও মুখ থেকে মস্তিষ্কের বায়ু প্রকোষ্ঠে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই কক্ষগুলির দেয়ালের সংলগ্ন ক্যাভারনাস সাইনাস। এতে 3, 4, 6 পু নাদুস আছে। এগুলিই চোখের পেশীর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে। এগুলো সংক্রমণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে চোখের পাতা ঝুলে যায়, চোখের গোলা নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়, আইরিস প্রসারিত হয়, দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। এছাড়াও, অপটিক নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চোখের লক্ষণগুলি কারও কারও জন্য ধীরে ধীরে শুরু হলেও অন্যরা খুব দ্রুত খারাপ হয়ে যায়। এটি লক্ষণীয় যে কিছু লোক দুই বা তিন দিনের মধ্যে একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারায়।

তালু কয়লা হিসাবে : আমাদের মুখের উপরের অংশ (তালু) অনুনাসিক বায়ু প্রকোষ্ঠের ভিত্তি হিসাবে কাজ করে। বায়ু চেম্বারের সংক্রমণের কারণে এটি কালো এবং কাঠকয়লা হয়ে যায়। এটি প্রায় 20% মানুষের মধ্যে দেখা যায়।

গাল ব্যথা : নাকের চারপাশে বায়ু প্রকোষ্ঠের সংক্রমণের কারণে গাল অসাড় হয়ে যেতে পারে এবং গালে ব্যথা হতে পারে।

দাঁত আন্দোলন : গালের কাছের গহ্বরে ছত্রাকের সংক্রমণ শুরু হলে চোয়াল আক্রান্ত হতে পারে এবং দাঁত নড়তে পারে। এর ফলে দাঁতে ব্যথা হতে পারে।

এটা কি এড়ানো যায় ?Mucaremycosis প্রধানত ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ঘটে। তাই কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এড়ানো সম্ভব। স্টেরয়েড দেওয়ার সময় গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে ইনসুলিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। স্টেরয়েডও যোগ করতে হবে। এর পাশাপাশি আরও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

• স্টেরয়েড, যখন প্রয়োজন, সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য উপযুক্ত মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি ক্লান্তির মতো কোনো উপসর্গ না থাকে তাহলে প্রথম পর্যায়ে এগুলো ব্যবহার করা উপযুক্ত নয়।
• অক্সিজেন সরবরাহ করার সময় হিউমিডিফায়ারে পরিষ্কার জল ব্যবহার করা, প্রতিদিন হিউমিডিফায়ার এবং পায়ের পাতার মোজাবিশেষ পরিবর্তন করার মতো সতর্কতাগুলি বাধ্যতামূলক৷
• ব্যক্তিগত ও চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে
• বেটা যুক্ত মাউথ ওয়াশ দিয়ে দিনে দুবার মুখ ধুয়ে ফেলুন।
• মাস্ক পরলে ছত্রাক নাক ও গলায় প্রবেশ করা রোধ করা যায়।
• যারা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভেন্টিলেটরে আছেন, যারা অক্সিজেন এবং স্টেরয়েড গ্রহণ করেছেন, যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস আছে, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা সংক্রমণ প্রতিরোধে সতর্কতা হিসেবে পোসাকোনাজল ট্যাবলেট ব্যবহার করতে পারেন।
• ব্যাকটেরিয়াজনিত সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মিউকোরমাইকোসিস সন্দেহ করা গুরুত্বপূর্ণ যারা কোভিড -19 বিকাশ করে।
• যারা অক্সিজেন পান তাদের জন্য স্যালাইন দ্রবণ দিয়ে ঘন ঘন নাক ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গোড়ার দিকে সনাক্তকরণ ভাল কারণ চিকিত্সা বিলম্বিত হয় কারণ সংক্রমণ বায়ু চেম্বারের উভয় পাশে ছড়িয়ে পড়ে। এটি মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়লে প্যারালাইসিস হতে পারে। কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে কয়েক দিনের মধ্যে মারা যেতে পারে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংক্রমণ সনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি দৃষ্টিশক্তি এবং জীবন বাঁচাতে পারে। আপনি যদি প্রচণ্ড মাথাব্যথা, গালে ব্যথা, চোখে ব্যথা লক্ষ্য করেন তবে তা উপেক্ষা করবেন না এবং অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।