ডিম্পল ক্রিয়েশন সার্জারি: প্রকার, পদ্ধতি, উপকারিতা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ডিম্পল ক্রিয়েশন সার্জারি একটি সাধারণ হাসিকে মনোমুগ্ধকর ইন্ডেন্টেশনে রূপান্তরিত করে যা অনেকেই সৌন্দর্যের প্রতীক বলে মনে করেন। ডিম্পলপ্লাস্টি নামেও পরিচিত এই পদ্ধতিটি সাধারণত নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে এবং জটিলতা কম। এই বিস্তৃত নির্দেশিকাটিতে ডিম্পল ক্রিয়েশন সার্জারি সম্পর্কে সবকিছুই আলোচনা করা হয়েছে, প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা পর্যন্ত। পাঠকরা অস্ত্রোপচারের কৌশল, সম্ভাব্য জটিলতা এবং নিরাময় প্রক্রিয়া চলাকালীন কী আশা করা যায় সে সম্পর্কে শিখবেন, যা তাদের এই ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় প্রসাধনী পদ্ধতি সম্পর্কে একটি সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।

ডিম্পল ক্রিয়েশন (ডিম্পলপ্লাস্টি) সার্জারি কী?

ডিম্পলপ্লাস্টি হল একটি প্রসাধনী পদ্ধতি যা গালে কৃত্রিম ডিম্পল তৈরির জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যারা এই মুখের বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করেননি। মুখের পেশীগুলির গভীরতার কারণে ডার্মিসে ইন্ডেন্টেশনের কারণে প্রাকৃতিক ডিম্পল তৈরি হয়, যখন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তৈরি ডিম্পলগুলি একটি ছোট অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এই প্রভাবটি অনুকরণ করে।

এই পদ্ধতিটি ত্বক এবং গালের পেশীর (বুকিনেটর পেশী) মধ্যে একটি দাগ তৈরি করে, যা হাসির সময় একটি ইন্ডেন্টেশন তৈরি করে। ব্যক্তিরা তাদের পছন্দ অনুসারে এক বা উভয় গালে ডিম্পল তৈরি করতে পারেন।

ডিম্পলপ্লাস্টি সার্জারির প্রকারভেদ

সার্জনরা ডিম্পল তৈরির সার্জারিকে তিনটি স্বতন্ত্র প্রকারে শ্রেণীবদ্ধ করেন, প্রতিটি কৌশল এবং টিস্যু ম্যানিপুলেশনে ভিন্ন। 

প্রকার ১: নন-এক্সিশনাল টেকনিক

• টাইপ ১ পদ্ধতিতে বুকিনেটর পেশী (মুখের ভাব প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় গালের পেশী) সংরক্ষণ করা হয় কারণ প্রক্রিয়া চলাকালীন কোনও টিস্যু অপসারণ করা হয় না। এই কৌশলটি আরও দুটি উপপ্রকারে বিভক্ত:
  • টাইপ ১এ: সার্জন একটি সেলাই তৈরি করেন যা পেশীটিকে ত্বকের সাথে সংযুক্ত করে, এপিডার্মিস (ত্বকের বাইরের স্তর) এর মধ্য দিয়ে যায়।
  • টাইপ ১বি: সেলাই ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করে না বরং ত্বকের গভীর স্তর (ডার্মিস) ভেদ করে গালের ভেতরের টিস্যুতে (মিউকোসা) ফিরে আসে।

টাইপ ২: এক্সিশনাল টেকনিক

• টাইপ ২ পদ্ধতিতে, সার্জনরা বুকিনেটর পেশীর কিছু অংশ কেটে ফেলেন, গালের ভেতরের আস্তরণ কেটে বা না কেটে। এই এক্সিশনাল পদ্ধতি সাধারণত টাইপ ১ পদ্ধতির তুলনায় বেশি স্পষ্ট ডিম্পল তৈরি করে।

টাইপ ৩: ইনসিশনাল টেকনিক

• পেশী টিস্যু অপসারণের পরিবর্তে, টাইপ 3-এ পেশীতে একটি ছেদ তৈরি করা এবং এটি ডার্মিসে সেলাই করা জড়িত। এই পদ্ধতিটি প্রাকৃতিক পেশী গঠন সংরক্ষণের সময় ডিম্পল প্রভাব তৈরি করে।

ডিম্পল ক্রিয়েশন (ডিম্পলপ্লাস্টি) সার্জারির ইঙ্গিত

ডিম্পল তৈরির অস্ত্রোপচারের প্রাথমিক ইঙ্গিতগুলির মধ্যে রয়েছে:

• ব্যক্তিগত সৌন্দর্যের আকাঙ্ক্ষা: অনেক রোগী কেবল এমন ডিম্পল পেতে চান যা তাদের জন্মগতভাবে হয়নি, তারা বিশ্বাস করেন যে এই মুখের বৈশিষ্ট্যগুলি তাদের হাসি এবং সামগ্রিক চেহারা উন্নত করবে।
• প্রাকৃতিক ডিম্পলের বর্ধন: কিছু ব্যক্তির অগভীর, সামান্য লক্ষণীয় ডিম্পল থাকে যা তারা আরও স্পষ্ট করতে চান।
• মুখের প্রতিসাম্য তৈরি: যাদের শুধুমাত্র একপাশে প্রাকৃতিক ডিম্পল আছে, তাদের জন্য অস্ত্রোপচার একটি অনুরূপ ডিম্পল যোগ করে ভারসাম্য তৈরি করতে পারে।

কাদের ডিম্পল ক্রিয়েশন সার্জারি করানো দরকার?

মুখের বৈশিষ্ট্য উন্নত করতে আগ্রহী বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কই ডিম্পল তৈরির সার্জারির জন্য যোগ্য। 

ডিম্পলপ্লাস্টির জন্য আদর্শ প্রার্থীদের মধ্যে সাধারণত অন্তর্ভুক্ত থাকে:

• সামগ্রিকভাবে ভালো শারীরিক স্বাস্থ্যের অধিকারী ব্যক্তিরা
• অ ধূমপায়ীদের 
• ফলাফল সম্পর্কে বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা সম্পন্ন ব্যক্তিরা
• প্রাপ্তবয়স্করা যারা নান্দনিকতার উন্নতির জন্য ডিম্পল চান
• যাদের রক্তপাতের ব্যাধি নেই বা নিরাময় ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে

ডিম্পল প্লাস্টিক সার্জারির ঝুঁকি

রক্তপাত একটি সম্ভাব্য ঝুঁকি, যদিও তুলনামূলকভাবে অস্বাভাবিক। বেশিরভাগ সার্জনই অস্ত্রোপচারের সময় এবং পরে খুব কম রক্তপাতের কথা জানান। 

মুখের স্নায়ুর ক্ষতি, বিশেষ করে মুখের স্নায়ুর মুখের অংশের ক্ষতি, "অত্যন্ত অস্বাভাবিক" রয়ে গেছে তবে এটি আরও গুরুতর সম্ভাব্য জটিলতাগুলির মধ্যে একটি। এই স্নায়ু মুখের কিছু অংশের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্ষতি স্বাভাবিক মুখের ভাবের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

অস্থায়ী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে সাধারণত অন্তর্ভুক্ত থাকে:

• অস্ত্রোপচারের স্থানের চারপাশে ফোলাভাব এবং লালভাব
• আরোগ্য প্রক্রিয়ার সময় হালকা অস্বস্তি
• ক্ষত যা কয়েক দিনের মধ্যে ধীরে ধীরে কমে যায়

দাগ, যদিও বিরল, চেহারা উন্নত করার উদ্দেশ্যে তৈরি একটি পদ্ধতির জন্য একটি অবাঞ্ছিত ফলাফল উপস্থাপন করে।

ডিম্পলপ্লাস্টি চিকিৎসা পদ্ধতি

এই প্রক্রিয়াটির মধ্যে রয়েছে যত্নশীল প্রস্তুতি, সুনির্দিষ্ট অস্ত্রোপচার কৌশল এবং কাঙ্ক্ষিত মুখের দাগগুলি অর্জনের জন্য সঠিক পরবর্তী যত্ন।

ডিম্পলপ্লাস্টির আগে

প্রস্তুতি শুরু হয় একজন অভিজ্ঞ ফেসিয়াল প্লাস্টিক সার্জন খুঁজে বের করার মাধ্যমে। প্রাথমিকভাবে, রোগীরা একটি পরামর্শে যোগ দেন যেখানে তারা তাদের লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং সর্বোত্তম ডিম্পল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। সার্জন নির্দিষ্ট স্থানগুলি চিহ্নিত করেন যেখানে ডিম্পল তৈরি হবে, সাধারণত বাহ্যিক ক্যান্থাস থেকে একটি রেখা এবং মুখের কোণ থেকে একটি অনুভূমিক রেখার ছেদস্থলে। ডিম্পলের অবস্থানের জন্য রোগীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিবেচনা করা হয়। 

পদ্ধতির সময়

ডিম্পলপ্লাস্টি সার্জারিতে প্রায় ২০-৩০ মিনিট সময় লাগে এবং বহির্বিভাগের রোগীদের ভিত্তিতে স্থানীয় অ্যানেস্থেসিয়ার অধীনে এটি করা হয়। প্রথমে, সার্জন চিহ্নিত স্থানে প্রায় ২-৩ মিলি স্থানীয় অ্যানেস্থেসিয়া (সাধারণত লিডোকেইন) ইনজেকশন দেন, এটি কার্যকর হওয়ার জন্য প্রায় ১০ মিনিট অপেক্ষা করেন।

এরপর, সার্জন গালের ভেতরে একটি ছোট ছেদ তৈরি করেন। এরপর, সার্জন গালের পেশীর একপাশ থেকে অন্যপাশ পর্যন্ত একটি সেলাই স্থাপন করেন, যা একটি স্লিং তৈরি করে যা ডিম্পলটিকে স্থায়ীভাবে স্থানে স্থাপন করে। যেহেতু সমস্ত ছেদ মুখের ভেতরে করা হয়, তাই কোনও দৃশ্যমান বাহ্যিক ক্ষত তৈরি হয় না।

ডিম্পলপ্লাস্টির পর

অস্ত্রোপচারের পর, রোগীরা সাধারণত তাৎক্ষণিকভাবে বাড়িতে ফিরে যেতে পারেন। হালকা ফোলাভাব এবং অস্বস্তি সাধারণ কিন্তু সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যেই কমে যায়। কোল্ড প্যাক প্রাথমিক ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে, অন্যদিকে ৪৮ ঘন্টা পরে উষ্ণ ফোমেন্টেশনের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।

প্রক্রিয়া পরবর্তী যত্নের মধ্যে রয়েছে:

• নির্ধারিত অ্যান্টিবায়োটিক এবং ব্যথার ওষুধ সেবন
• নিয়মিত অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ ব্যবহার করা
• প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পূর্ণ হাসি এড়িয়ে চলা
• গালের উপর চাপ এড়াতে প্রথমে নরম খাবার খাওয়া

ডিম্পলপ্লাস্টির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ডিম্পলপ্লাস্টির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোগী ভেদে ভিন্ন হয়, বেশিরভাগ ব্যক্তিই খুব কম অস্বস্তি অনুভব করেন। ডিম্পলপ্লাস্টি সাধারণত একটি দ্রুত এবং নিরাপদ পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হয় যার উচ্চ তৃপ্তির হার এবং জটিলতার ঝুঁকি কম।

বেশিরভাগ রোগীই আরোগ্যলাভের সময় কেবল হালকা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হন। এই অস্থায়ী সমস্যাগুলি সাধারণত কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যে হস্তক্ষেপ ছাড়াই সমাধান হয়ে যায়। সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে:

• অস্ত্রোপচারের স্থানের চারপাশে হালকা ফোলাভাব এবং লালভাব
• কাটা স্থানে অস্থায়ী ব্যথা
• প্রথম ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যে সামান্য রক্তপাত
• ক্ষত (হেমাটোমা) যা ধীরে ধীরে বিবর্ণ হয়ে যায়

ডিম্পল ক্রিয়েশন (ডিম্পলপ্লাস্টি) সার্জারির সুবিধা

ডিম্পলপ্লাস্টি মূলত মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, আরও গতিশীল এবং আকর্ষণীয় চেহারা তৈরি করে। অনেক সংস্কৃতি ডিম্পলকে সৌন্দর্য, সৌভাগ্য এবং এমনকি ভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করে। 

ডিম্পলপ্লাস্টির একটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা হল এর ন্যূনতম পুনরুদ্ধারের সময়। বহির্বিভাগীয় পদ্ধতি হিসেবে, রোগীরা একই দিনে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন। 
নিরাময় সম্পন্ন হওয়ার পর এই পদ্ধতি স্থায়ী ফলাফল প্রদান করে।

সর্বোপরি, ডিম্পলপ্লাস্টি আত্মবিশ্বাসের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করে। চিকিৎসার দৃষ্টিকোণ থেকে, ডিম্পলপ্লাস্টি নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাগুলি প্রদান করে:

• ব্যতিক্রমীভাবে নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি
• সঠিক কৌশল ব্যবহার করলে রক্তপাত বা হেমাটোমা গঠনের সম্ভাবনা খুবই কম।
• আরও আক্রমণাত্মক অস্ত্রোপচারের তুলনায় ন্যূনতম ঝুঁকি এবং জটিলতা
• দ্রুত প্রক্রিয়া, সাধারণত 30 মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন হয়

উপসংহার

ডিম্পল ক্রিয়েশন সার্জারি বা ডিম্পলপ্লাস্টি তাদের মুখের বৈশিষ্ট্য উন্নত করতে চাওয়া ব্যক্তিদের জন্য একটি নিরাপদ এবং কার্যকর পছন্দ। এই পদ্ধতিটি দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল প্রদান করে এবং তুলনামূলকভাবে দ্রুত আরোগ্য লাভের সময়কাল বজায় রাখে। বেশিরভাগ রোগী কয়েক দিনের মধ্যেই দৈনন্দিন কার্যকলাপে ফিরে আসেন, আরোগ্য লাভের সময় কেবল হালকা অস্বস্তি অনুভব করেন।

এর সুবিধাগুলি শারীরিক পরিবর্তনের বাইরেও বিস্তৃত। অনেক রোগী ডিম্পলপ্লাস্টির পরে তাদের চেহারা নিয়ে আত্মবিশ্বাস এবং সন্তুষ্টি বৃদ্ধির কথা জানান। উপরন্তু, পদ্ধতিটির কাস্টমাইজযোগ্য প্রকৃতি রোগীদের ডিম্পলগুলি সাবধানে স্থাপন এবং আকার দেওয়ার মাধ্যমে তাদের পছন্দসই চেহারা অর্জন করতে দেয়।

বিবরণ

১. ডিম্পল সার্জারি কি ঝুঁকিপূর্ণ?

ডিম্পল তৈরির সার্জারি মূলত একটি নিরাপদ এবং সহজ পদ্ধতি যার জটিলতা কম। 

২. ডিম্পল তৈরির সার্জারি কি স্থায়ী?

হ্যাঁ, ডিম্পল তৈরির অস্ত্রোপচারের ফলে সাধারণত স্থায়ী ডিম্পল দেখা দেয়।

৩. ডিম্পলপ্লাস্টির কতক্ষণ পরে আমি ফলাফল দেখতে পাব?

ডিম্পলপ্লাস্টির ফলাফল ধীরে ধীরে বিকশিত হয়। প্রাথমিকভাবে, ডিম্পলগুলি হাসি না থাকলেও দেখা যায়, কিছুটা গভীর দেখায়। নিরাময়ের অগ্রগতির সাথে সাথে এগুলি নরম হয়ে যায় এবং আরও স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। 

৪. ডিম্পলপ্লাস্টি সার্জারিতে কত সময় লাগে?

ডিম্পল তৈরির প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে ২০-৩০ মিনিট সময় লাগে। 

৫. ডিম্পলপ্লাস্টি কি একটি বেদনাদায়ক পদ্ধতি?

ডিম্পলপ্লাস্টি স্থানীয় অ্যানেস্থেসিয়ার অধীনে করা হয়, যা প্রক্রিয়াটিকে ব্যথাহীন করে তোলে। তবে, অস্ত্রোপচারের পরে রোগীরা সাধারণত গালের অংশে হালকা অস্বস্তি এবং ফোলাভাব অনুভব করেন। এই অস্বস্তি কয়েক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হওয়া উচিত নয় এবং সাধারণত নির্ধারিত ব্যথার ওষুধ দিয়ে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

৬. ডিম্পল তৈরি (ডিম্পলপ্লাস্টি) সার্জারির পর কি আমি খেতে পারি?

ডিম্পল তৈরির অস্ত্রোপচারের কিছুক্ষণ পরেই রোগীরা খেতে পারেন, তবে কিছু বিধিনিষেধ সহ। 

৭. ডিম্পল সার্জারির জন্য বয়সসীমা কত?

ডিম্পলপ্লাস্টির কোনও কঠোর বয়সসীমা নেই, মূলত রোগীর স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর নির্ভর করে। 

৮. অস্ত্রোপচার ছাড়াই কি ডিম্পল হওয়া সম্ভব?

হ্যাঁ, সার্জিক্যাল ডিম্পলপ্লাস্টির বিকল্প আছে, যদিও এগুলো স্থায়ী ফলাফলের চেয়ে অস্থায়ী ফলাফল প্রদান করে। সার্জারি ছাড়াই ডিম্পল তৈরির পদ্ধতিগুলির মধ্যে রয়েছে:

• ডার্মাল ফিলারগুলি নিরাপদে এবং ব্যথাহীনভাবে অস্থায়ী ডিম্পল তৈরি করতে পারে
• মেকআপ কৌশল কৌশলগত কনট্যুরিংয়ের মাধ্যমে ডিম্পলের মায়া তৈরি করে
• মুখের ব্যায়াম পেশীর সংজ্ঞা উন্নত করতে পারে, যদিও ফলাফল উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়
• গয়না ঠিক জায়গায় থাকা অবস্থায় গাল ছিদ্র করলে ডিম্পলের মতো দাগ তৈরি হতে পারে।